আমি অ্যাশ, অ্যাশ উইলিয়াম৷ ভূতুরে সব কর্মকান্ডের সাথে সবসময় কিভাবে জানো জড়িয়ে পড়ি৷ যেখানেই যাই না কেন নিজের সামনে সব রকম ভূত, পিচাশ, ডাইনি দেখতে পাই৷
অ্যাশ আয়নায় তাকিয়ে আছে সাথে সাথেই তার পিছনে একটা পিচাশ এর মুখ ভেসে আসলো আর অ্যাস পিছনে ঘুরেই তাকে ঘুষি মারলো৷
ম্যান্ডিঃ- অ্যাশ কী সমস্যা তোমার? আমাকে ঘুষি মারলে কেন?
অ্যাশঃ- ম্যান্ডি? ও মাই গড! I'm so sorry, আমি ভেবেছিলাম তুমি একটা........তুমি একটা...
ম্যান্ডি তাকে জোরে একটা লাথি মারলো আর বললো, কী ভেবেছিলি হারামজাদা? আমাকে তেতুল গাছের পেত্নী মনে হচ্ছিল? অ্যাশ বললো, "হ্যা ঐরকম কিছুই একটা..... ভয় পেয়েছিলাম আমি, তাই......
ম্যান্ডি রেগে গিয়ে তাকে বললো, "তুই এক্ষুনি আমার বাড়ি থেকে বের হয়ে যা নাহলে পিটিয়ে তোকে ভূত বানিয়ে খেজুর গাছে ঝুলিয়ে রাখবো"৷ অ্যাশ বললো, "যাচ্ছি বাবা যাচ্ছি৷ এত গরম হবার কিছুই হয়নি৷ এখন সব ঠিক হয়ে গেছে"৷ একথা বলে যখনি অ্যাশ বাহির হচ্ছিল ঠিক তখনি একজন টুপি পড়া ভূতের মত দেখতে তাকে দেখে বললো, " গুড মর্নিং স্যার, একটা চিঠি এসেছে ম্যান্ডরি নামে"৷ অ্যাশ তাকে দেখেই ঘুষি মারলো আর বললো, "চিঠি না! শালা তুই ক্যাপ পড়া ভূত"৷ পোস্টম্যান তাকে বললো, " পাগল হয়ে গেছেন নাকি ভাই? সকাল সকাল পোস্টম্যানের উপর হামলা"৷ একথা শুনে অ্যাশ বুঝতে পারলো এরা কোন ভূত ছিল না, তখন অ্যাশ বলে উঠে, "ইয়া আল্লা! এ কী হচ্ছে আমারা সাথে? আমি উল্টো পাল্টা কিসব দেখছি! দিনে দুপুরে পাগল হয়ে গেলাম নাকি?"
পোস্টম্যান তার কথা শুনে সাথে সাথে ব্যাগ থেকে পেপার র্স্পে বের করে অ্যাশের চোখে মারলো আর বলে উঠলো, "তোর পাগলামি সারাচ্ছি"৷ অ্যাশ তাকে বললো, "বোকাপাঁঠা কোথাকার, বল্লাম না আমার হ্যালুসিনেশন হচ্ছে"৷
একথা বলে অ্যাশ রাস্তার দিকে বের হতেই একটা কুকুর এসে তার তোয়ালে ধরে টানছে আর সে বলে, "গেস্টার কী হচ্ছে কী! ছেড়ে দে বাবা..... ওটা যে ম্যান্ডির তোয়ালে সেটা আমিও জানি, কিন্তু এঅবস্থায় এভাবে টান দিস না! শালা ইজ্জত সম্মান সব যাবে" কথা শেষ করতে না করতেই কুকুর টা ওর তোয়ালে নিয়ে দৌড় দিল আর অ্যাশ কুকুরকে তাড়া করছে আর বলছে, "কুওার বাচ্চা! কী করছিস কী! দে ওটা আমাকে দে.......৷
সামনে থাকা এক মহিলা পুলিশ অফিসার তাকে দেখে বলে, "কে কোথায় আছো? তাড়াতাড়ি এদিকে এসো একটা ড্রাগ এডিক্ট নেংটা হয়ে ঘুরছে৷ উল্টা পাল্টা কিছু করার আগেই ওকে জেলে নিয়ে ভড়তে হবে"৷
অ্যাশ তখন তার সামনে থাকা পুলিশের ভ্যানে উঠে বসে আর বলে, "আমি কোন পাগল নই যে থালা বাসন নিয়ে আমার পিছন পিছন আসতে হবে৷ দিনকাল বড্ড খারাপ যাচ্ছে নাহলে দেখে নিতাম তোমাদের "৷
অ্যাশ সেই ভ্যান নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে আর বলছে, "শালা ভাগ্যটাই খারাপ আমার! কি সুন্দর একটা হট অ্যাটম বম পটিয়ে ফেলেছিলাম৷ কিছু দিন আরাম,সে মস্তি করা যেত৷ কিন্তু না, ওপর ওয়ালার সহ্য হলো না আমার সুখ৷ তবে এমন হ্যালুসিনেশন হবার তো কথা ছিল না! যদি না কেউ শালার ওই কালো জাদুর বইটা পেয়ে....... পড়া শুরু করে৷ ওহহহহহহ খোদা"৷
অ্যাশ তখন সেই বইটার বিষয়ে বলতে শুরু করলো, "নেক্রোনমিকন এক্স মরটিস সেই বইটার নাম৷ যার বাংলা হয়, নরকের শয়তান৷ শালার ঔই বই আমাকে যেই খেল দেখিয়েছে......কেন যে লিন্ডার সাথে ঐ ভূতের জঙ্গলের এক কেবিনে রাত কাটাতে গিয়েছিলাম৷ সর্বনাশের শুরু ওখান থেকেই৷ বইটা লিন্ডা কোথা থেকে পেয়েছিল তা জানিনা, কিন্তু গভীর রাতে হঠাৎ করে ওটা থেকে এক কালো শক্তি বের হয়ে আসে৷ সবার আগে লিন্ডাকে বস করে ফেলে ওটা৷ এরপর ধীরে ধীরে.... আমার দিকে এগোতে থাকে৷ ফস করে আমার হাতের মধ্যে ডুকে পড়ে ওটা৷ ভয় পেয়ে মাঝখান থেকে দুইভাগ করে দূরে ফেলে দেই বইটাকে৷ এতে কোন লাভ হয় না তাতে, আবার ফিরে আসে ওটা দিগুণ শক্তি নিয়ে৷ শেষ চেষ্টা হিসেবে বইটাতো আগুন লাগিয়ে দেই আমি, যদি এভাবে ধ্বংস করা যায় কালো শক্তি৷ কিন্তু উল্টো..... আমি নিজেই ফেসে যাই একটা সময় সুরুঙ্গে৷
ওটা আমাকে খ্রিস্ট র্পূব ১৩০০ অব্দে নিয়ে যায়৷ কিভাবে যে আমি ঐই দোজখখানায় পৌছালাম আমি নিজেও জানিনা৷ তবে ওখানকার গর্দবগুলো ভেবে নিল আমি ওদের রক্ষা করতে হাজির হয়েছি৷ সুন্দরি লোলার প্রেমে মজে আমিও আর ওদের ভুলটা ভাঙ্গিয়ে দিলাম না৷ শটগান নিয়ে নেমে পড়লাম মাঠে৷
স্থানীয় জনগন তখন অনেক আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে৷ কালো জাদুর ওই বই নরকের শয়তান গুলোকে জাগিয়ে তুলেছে৷ আর ওরা একের পর এক মানুষ মেরেই চলেছে৷ নরকের কীটগুলো মনে হয়নি তখনি শটগান কি জিনিস বুঝতে পারেনি৷ শয়ে শয়ে মারা পড়লো৷ লোলার সাথে বেশকিছু দিন সমানে মস্তি মারলাম৷ তবে এক মেয়েকে আর কতদিন ভাল লাগে? নিজ বাড়িতে ফেরার জন্য মন কেমন জানো করছিল৷ অবশেষে এক বুড়ো জাদুকর কী এক জাদুর পানি খাওয়ালো, যেটা আমাকে ফিরিয়ে আনবে বিংশ শতাব্দীতে! বিনিময়ে অলক্ষুনে ওই বইটা চাই তার, দিয়ে দিলাম বিন্দু মাএ চিন্তা ভাবনা না করে"৷ একথা বলে অ্যাশ গাড়ি থেকে নেমে কাপড় পরে নিল তারপর আবার হাটা শুরু করলো রাস্তা দিয়ে অনেক মানুষের ভিড়ে আর বলতে শুরু করলো, "
কিন্তু ফিরে এসে লাভটা কী হলো আমার? এখন তো আরো বড় ঝামেলার মধ্যে পড়ে গেছি৷ আল্লাহ জানে কার হাতে পড়ছে ওই বইটা৷ ওই শালা গবেট নিশ্চই বইটা খুলে পড়েছে, আর না হয় কোনভাবে ওটার ক্ষতি করেছে৷ এখন যাকেই দেখছি তাকেই ভূত, প্রেতাত্মা, পিশাচ মনে হচ্ছে৷ উফফফফ......
এর থেকে মুক্তির একটাই উপায় আছে৷ ওই লোকটাকে আমার খুজে বের করতে হবে৷ কিন্তু এত বড় দুনিয়ার কোন চিপায় পড়ে আছে সে কিভাবে জানবো.......কারো দিকে তো ভাল করে তাকাতেও পারছি না৷ কিন্তু ওকে যে আমার খুজে বের করতেই হবে৷ দেখবি নাকি একবার চোখ খুলে? এতক্ষণে জাদুর প্রভাব শেষ হয়ে যাবার কথা"৷
অ্যাশ চোখ খুলতেই দেখলো তার দিকে শত শত ভূত এগিয়ে আসছে আর সে বলছে, "বাপরে, চোখ না খুলেই মনে হয় ভাল হতো৷
উওর আফ্রিকা কোন একটা ক্যাম্পে
মি. করবিন কে বন্দি করে রেখেছেন জেনারেল কেজ৷ মি. করবিন তাকে বললো, "জেনারেল কেজ! আপনি কিন্তু আগুন নিয়ে খেলছেন৷ আপনি যেইরকম টা ভাবছেন, ওই বইয়ের কালো শক্তি তার থেকেও অনেক বেশি ভয়ংকর৷ আপনার এমন কাউকে দরকার যে ওই বই সম্পর্কে সব জানে৷ এর কালো শক্তির সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে অবগত! যার কিনা ওই ভয়ংকর শক্তির মোকাবিলা করার মত কলাকৌশল আয়ওে আছে"৷
উওরে জেনারেল কেজ বললো, "আর সেই মহান ব্যাক্তিটা কে শুনি? আপনি নিজেই নাতো? মি. করবিন বললেন, " আপনি ঠিকি ধরেছেন৷ আপনি যদি আমার হেল্প চান তাহলে যা যা করতে........ কথা শেষ না করতেই জেনারেল কেজ তাকে একটি থাপ্পড় মেরে বসলো আর বললো, "চোপ শালা শকুনের বাচ্চা৷ আমার ভাইকে মেরেছিস! তোর চোখ দুটো তুলে নিয়ে শেয়াল, কুকুরকে খাওয়াবো৷
থাপ্পড় খেয়ে মি. করবিন এর মুখ দিয়ে রক্ত পড়ছে আর সে বলছে, " আমমমম...…...মি আমি আপনার ভাইকে মারিনি জেনারেল কেজ! ঐটা ওই ছিচকে চুন্নিটার কাজ৷ যাকে আপনি বোকার মতো বিশ্বাস করে হাত মিলিয়েছিলন৷ অ্যাবি চেজ৷ জেনারেল কেজ উওরে বললেন, "তুই যদি ওই বইটা নিয়ে না পালাতি, তাহলে আমার ভাই তোর পিছনে ছুটতো না ওইটা উদ্ধার করার জন্য৷ আর হ্যা অ্যাবি চেজ! ঐ মেয়ে আমার হয়ে কাজ করছিল৷ আমার সাথে চুক্তি হয়েছিল"৷
মি. করবিন তাকে বললো, "অ্যাবি চেজ কারো হয়ে কাজ করে না! সে শুধু নিজের ভাল টাই বুঝে৷ সে ওই বইটার বিষয়ে জানে! বইটার ভাল করে পড়তেও পারে, আর তাই আপনার ভাইকে খুন করে সেটা হাতিয়ে নিতে চেয়েছে"৷ জেনারেল কেজ তার কথা শুনে তাকে জিজ্ঞেস করলো, " তাহলে ওই বইটার ছেড়া পাতা অ্যাবির কাছে আছে তুমি বলছো? মি. করবিন তার জবাব দিল, "আমি ওটা আপনার কাছেই নিয়ে আসতাম জেনারেল কেজ! টের পেয়ে ওই শাঁকচুন্নি টা পাতা ছিড়ে রেখেছে৷ ঐ পাতাটা ছাড়া আপনি কিছুতেই নরকের শয়তান গুলোকে জাগাতে পারবেন, একথা শেষ করেই পর্দার আড়ালে দেখলে একটা ভয়ংকর কিছু এগিয়ে আসছে আর সে জেনারেল কে বললো, "জেনারেল আমার মনে হয় এই এলাকায় অনেক বড় আকারের ভয়ানক কোন প্রানী ঘুরে বেড়াচ্ছে৷ যত দ্রুত সম্ভব ওটার একটা ব্যবস্তা করুন প্লিজ"! এখন মি. করবিন কে বাহির করে অন্য কোথাও নিয়ে যাচ্ছে তখন সে বললো, "আমি আপনাকে ওই বইয়ের পাতাটা উদ্ধার করতে সাহায্য করতে পারি জেনারেল৷ আমি কিছু লোককে চিনি যারা ২৪ ঘন্টার মধ্যে ওই মেয়েটাকে খুজে বের করতে পারবে"৷
জেনারেল কেজ সিগারেট ধরাচ্ছেন আর বললেন, "আমি ওকে খুজে বের করতে যাবো কোন দুঃখে! বইটা যদি অ্যাবির দরকার হয় তাহলে সে নিজেই আমার খাচায় এসে ধরা দেবে৷ মি. করবিন তাকে বললো, " ব্যাপার টা এতো সোজা না জেনারেল! ইদানীং অ্যাবি চেজ একটা গুপ্ত সংগঠনের সদস্য হয়ে কাজ করছে৷ তবে আপনি চিন্তা করবেন না৷ আমি জানি ওরা কিভাবে কাজ করে"৷ জেনারেল কেজ রসিকতার সাথে তাকে বললো, "আচ্ছা? বেশ মজার তো! তা কারা এই সংগঠনে আছে? সার্কাসের জোকার গুলো নাকি রাস্তার ভিক্ষুক বাহিনী"? মি. করবিন জবাব দিল, " পৃথিবীর সেরা কিছু স্পাই, অস্ত্র বিশেষজ্ঞ, ডাক্তার, সায়েন্টিস্ট আর কম্পিউটার প্রোগ্রামার৷ ওদের সংগঠনের একটা নামও আছে ডেঞ্জার গার্ল৷
জেনারেল কেজ সিগারেটে টান দিয়ে বললো, "নাম শুনে তো মনে হচ্ছে পাড়া মহল্লার কোন বাইজি নাচের দল৷ মাঝে মাঝে ভাড়া করে আনতে হবে৷ যাই হোক মি. করবিন ভালো থাকবেন, এটাই আমাদের শেষ দেখা"৷ একথা বলেই জেনারেল কেজ তাকে একটা হিংস্র বাঘের সামনে ছেড়ে দিল আর বাঘটা তাকে ছিড়ে খাচ্ছে৷
এদিকে অ্যাশ রাস্তার সবাইকে ভূত ভেবে মেরে অজ্ঞান করে ফেলে রেখেছে৷ একটা পুলিশ তার দিকে শক গান তাক করে সামনে এগিয়ে আসছে৷ অ্যাশ তাকে বলছে, "প্লিজ অফিসার! বোঝাার চেষ্টা করুন! আপনি যা ভাবছেন তা নয়, কিভাবে কী হয়ে গেল..... এখন আমি সম্পন্ন সুস্থ৷ আপনাকে সবকিছুর ব্যাখা দিলে আপনি বুঝতে পারবেন বিষয় টা৷ আমি মাতাল নই, ড্রাগও নেই না"৷ পুলিশ তার কোন কথায় পাওা দিল না বরং সে তাকে বললো, "জলদি মাটিতে শুয়ে পড় সাইকো৷
অ্যাশ তাকে বললো, " সত্যি বলছি স্যার! আমার কোন দোষ নেই! বরং ওরাই আগে আমাকে হামলা করেছে ধারালো অস্ত্র নিয়ে৷ আমি শুধু আত্নরক্ষায় ওদেরকে দু-চারটা চর থাপ্পড় মেরেছি"৷ অফিসার তাকে বললো, "আমাকে কী তোর গবেট বলে মনে হচ্ছে "?৷ অ্যাশ তার উওরে বললো, "না না, একদম না৷ আমি শুধু বলতে চাচ্ছি এই পিশাচগুলো আমাকে দেখলেই তেড়ে আসে৷ আপনি যদি ওদের একবার দেখতেন অফিসার৷ সবগুলো যেন কবর থেকে উঠে এসেছিল"৷ অ্যাশ এর কথা শুনে এবার অফিসার রেগে গিয়ে বললেন, "শেষবারের মতো তোকে ওর্য়ানিং দিচ্ছি"৷ অ্যাশ তার উওরে বললেন, "ওয়ার্নির আমাকে না, ওদেরকে দেওয়া উচিত ছিল অফিসার৷
এই পিশাচ গুলোকে শায়েস্তা করা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য৷ তার আগে আমাকে একটু চোখেরর ডাক্তারের কাছে যেতে হবে৷ তো আপনি যদি অনুমতি দেন.......এই কথা বলতে না বলতেই অফিসার তাকে শকগান দিয়ে শুট করলো আর শক গানের শক খেয়ে বললো, "তাহলে তোকেও একটা শিক্ষা দিতে হয় দেখছি, এবার আমার পালা", একথা বলেই অ্যাশ অফিসারকে এক ঘুষি৷ অফিসার ঘুষি খেয়ে মাটিতে পড়ে গেল আর অ্যাশ বললো, "এক থাপ্পড়েই অজ্ঞান! এই কারনেই দেশের আইন শৃঙ্খলার এত অবনতি!" একথা বলে অ্যাশ যখন সামনে তাকালো দেখলো ৫-৬ জন তার দিকে শকগান তাক করে দাড়িয়ে আছে আর সাথে সাথে তাকে শুট করলো, অ্যাশ তখন অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে গেল৷
আরো পড়ুনঃ- ডেঞ্জারাস গার্ল আর নরকের শয়তান - ১ম পর্ব
সমুদ্রে একটা জাহাজে
ভ্যালেন্টাইন আর ডিউজ কম্পিউটার এর সামনে বসে আছে৷ ভ্যালেন্টাইন কম্পিউটারে ওই লোককে খুজছে আর বলছে, "অ্যাবি আমাকে ঐ লোকটা কোথায় আছে সেটা খুজে বের করতে বলেছে ডিউজ৷ আমি সেই চেষ্টাই করছি এখন৷ কিন্তু এই পাতাটার বয়স প্রায় সাড়ে তিন হাজার বছর৷ এখান থেকে কোন সূএ পাওয়া অসম্ভব বলে মনে হচ্ছে"৷ ডিউজ তার দিকে তাকিয়ে তাকে বললো, " কোথায়? আমি তো দেখছি তুমি জিমি নামের কোন একটা ছেলের সাথে চুটিয়ে চ্যাট করছো"৷
ভ্যালেন্টাইন তার কথা শুনে তাকে বললো, "কিযে বলনা তুমি ডিউজ! আমি ওই লোকটার ছবি ইন্টারনেটে স্কান করছিলাম৷ আশা করছি হাসপাতাল, পুলিশ স্টেশন, লাইব্রেরি, জাদুঘর কোথাও না কোথাও থেকে ওর সম্বন্ধে কিছু একটা জানতে পারবো৷ তাছাড়া ঔইসব জিমি ফিমি দিয়ে আমার পোষাবে না৷ আমার আরো নম্র ভদ্র কাউকে প্রয়োজন৷ যার সাথে সুখে শান্তিতে অন্তত মাস তিনেক হলেও কাটানো যাবে"৷
এদিকে অ্যাবি সমুদ্র থেকে উঠে এসে সুইমিং ড্রেস পড়ে ভ্যালেন্টাইন ও ডিউজকে জিজ্ঞেস করলো, "ভ্যালেন্টাইন, ডিউজ কিছু পাওয়া গেল"? সাথে সাথে ভ্যালেন্টাইন অবাক হয়ে অ্যাবির দিকে তাকিয়ে বললো, "এ্যা........ পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে! আজকে? কিভাবে সম্ভব? কে এই লোক"?৷ অ্যাবি সাথে সাথে ভ্যালেন্টাইন এর কাছে এসে কম্পিউটারের দিকে তাকিয়ে বললো, "এর পরিচয় পুলিশের কাছেও নেই৷ দেখছো না জন ডোর নামে গ্রেফতার দেখিয়েছে৷ তবে এই যে সেই লোক তাতে কোন সন্দেহ নেই৷
ভ্যালেন্টাইন আবারো অবাক হয়ে বললেন, "কিন্তু কিভাবে সম্ভব এটা অ্যাবি? বইটা কমহলেও কয়েক হাজার........ কথা শেষ না করতেই অ্যাবি তাকে বললো, "বছরের পুরনো, এইতো? সেটা আমিও জানি ভ্যাল৷ মনে হয় ঐ লোকটা আর ছবিতে যে আছে তারা একে অপরের আত্মীয়৷ ছেড়া ঐ পাতাটা আমাদের ওই বইটা খুজতে সাহায্য করবে ডিউজ! কিন্তু ওটা হাতে পাওয়া মাএই....... অ্যাবি তার কথা শেষ করার আগেই ডিউজ বললো, "ধ্বংস করে ফেলতে হবে? আর তার জন্য ওই লোকের সাহায্য চাই এইতো"?
ভ্যালেন্টাইন ডিউজ এর কথা শুনে বললো, "তো এখন আমরা কী করবো? পুলিশ স্টেশনে হামলা করবো? ওকে ভাগিয়ে নিয়ে আসার জন্য? কাজটা কতো বিপদজনক হতে পারে সেই সম্পর্কে কোন আন্দাজ আছে"? অ্যাবি তার পোশাক পড়ে ভ্যালেন্টাইনকে বললো, "বিপদজনক? তাহলে তো আমাকেই যেতে হবে কী বল? কারন বিপদের সাথে হাডুডু খেলা আমার নেশা ভ্যালেন্টাইন"৷
চলবে..........
লেখকঃ- Andy Hartnell
অনুবাদ ও সংলাপঃ- অহর আরসালান
পরবর্তী পর্বের জন্য অবশ্যই আমাদের সাথে থাকবেন৷ গল্পটি ভাল লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন এবং জানাবেন কেমন হয়েছে৷ ৩য় পর্ব পড়তে হলে অবশ্যই জানাবেন আমাদের তাহলে খুব শীগ্রই পোস্ট করা হবে৷ আর অবশ্য আমাদের সাথে থাকবেন৷ ফেসবুক পেইজ
Thanks to comment Jibon Somossa official blog. Stay with us for more content. Follow us to Facebook. www.facebook.com/jibonsomossa.blog